জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০ নিয়ে বিডি স্টেম ফাউন্ডেশন প্রস্তাবনা

[বাংলাদেশ স্টেম ফাউন্ডেশন কর্তৃক রচিত এই বিবৃতিটির যৌথ রচয়িতা এবং স্বাক্ষরদাতারা হলেন- . আল নকীব চৌধুরী, ড. এস এম হাফিযুর রহমান, ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, ড. এ কে এম জাকির হোসেন, ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ড. মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম, ড. সজল চন্দ্র বণিক, ড. মো. খোরশেদ আলম, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ড. আবু বিন ইমরান, ড. মোহাম্মদ তারিক আরাফাত, ড. মোহাম্মদ আবু সায়েম কাড়াল, ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মাস্তাবুর রহমান।

লেখকবৃন্দ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত, বিজ্ঞান, কৃষি ও প্রকৌশল বিষয়ের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ স্টেম ফাউন্ডেশনের সদস্য।]

স্বাধীনতার পরপর ১৯৭২ সালে কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে। ১৯৭৪ সালে এই কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য বলতে লেখা হয়েছিল, “বিজ্ঞানের মুখ্য উদ্দেশ্য হল সমাজের উন্নতি সাধন করা”, এবং প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষার শেষ ধাপ পর্যন্ত এই লক্ষ্যে কারিকুলামকে সাজানোর কথা বলা হয়েছিল। সত্যি বলতে কি, এরপর আরও কত শিক্ষা কমিশন বাংলাদেশ পেয়েছে, কিন্তু কুদরত ই খুদা কমিশনের মত জনমুখী শিক্ষা কমিশন আমরা দ্বিতীয়টি পাইনি। একইরকম কথা ভারতের ক্ষেত্রে কোঠারি শিক্ষা কমিশন (১৯৬৪-১৯৬৬) সম্পর্কেও প্রযোজ্য। যে নিষ্ঠা ও নিখাদ ভালবাসা এই দুটি শিক্ষা কমিশন তাদের নিজ নিজ দেশ সম্পর্কে দেখিয়েছিলেন, তা সত্যিই বিরল। স্মর্তব্য যে দুটিই দুই কৃতবিদ্য বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে বিরচিত। আমাদের দেশের সর্বশেষ চলতি শিক্ষানীতিটি ২০১০ সালের, সেখানে শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখা আছে- শিক্ষার উদ্দেশ্য হল ‘জনমুখী উন্নয়ন’, ‘মানবতার বিকাশ’ এবং ‘প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী’ নাগরিক গড়ে তোলা। সেখানে লেখা আছে বিজ্ঞান হচ্ছে প্রকৃতিকে অনুধাবন করা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্য উদ্ঘাটনের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান মানবসভ্যতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ‘যথাযথ বিজ্ঞান শিক্ষা’ এই কাজটি ত্বরান্বিত করে বলে সে নীতিতে বলা হয়েছে।

২০১০-এর পর আমাদের আর কোনো শিক্ষানীতি বিষয়ক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে সম্পতি আমরা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০ হাতে পেয়েছি। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এটিতে সার্বিক শিক্ষার একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ভবিষ্যতে এটি সম্পূর্ণ নতুন কিছু দিক-দর্শন উপস্থাপন করেছে। এখানে রূপান্তরমূলক দক্ষতার কথা বলা হয়েছে – শিক্ষার্থী বিবিধ বিষয়ের অধীত বিদ্যাকে জীবনের যেকোন স্তরে এবং যেকোন পরিস্থিতিতে কাজে লাগাতে পারবে, করে খেতে পারবে, এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা নেবার জন্য অভ্যস্ত হবে। নিঃসন্দেহে এটা খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গক্রমে, OECD এবং PISA ইত্যাদি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং স্ট্যান্ডার্ডাইজ শিক্ষা প্রকরণের কথা বলা হয়েছে। এসব অনুপ্রেরণা আমাদের জন্য খুবই শিক্ষণীয়। একইসাথে মনে রাখতে হবে, আগামী দশকগুলিতে আমাদের গ্রাজুয়েটরা এমনসব যন্ত্র (যেমন অটোমেশন) এবং বাস্তবতার (যেমন বৈশ্বিক ঊষ্ণায়ন) মুখোমুখি হবেন যার জন্য মুখস্ত বা পুঁথিগত বিদ্যার চাইতে দক্ষতার প্রয়োজন বেশি হবে। প্লেফেয়ারের উপপাদ্য জানার চাইতে বরং মাইক্রোকন্ট্রোলারের ব্যবহার বেশি কাজে লাগবে, কিংবা এমন প্রশ্নও আমরা শুনেছি যে রান্নাঘরে ত্রিকোণমিতির কাজ কী ইত্যাদি। কাজেই এই রূপরেখাটি যথেষ্ট ভাবনা ও চিন্তার খোরাক, এবং আমরা মনে করি এটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনারও প্রয়োজন ছিল। কেননা শিক্ষাবিদ হিসেবে আমরাও জানতে চাই, আমাদের কাছে প্রত্যাশা কী।

আমরা সরাসরি বিজ্ঞান-শিক্ষার ক্ষেত্রে কথা বলতে চাই। রূপরেখাটি খুব দারুণ কিছু ভাবনার খোরাক দিলেও, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার সম্পর্কে আমাদের হতাশ করেছে। বিডি স্টেম ফাউন্ডেশন মনে করে, এই রূপরেখাটি যথাযথ স্টেম-শিক্ষা বান্ধব হয়নি – চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব কিংবা একুশ শতকের উপযোগী নাগরিক করে তুলতে যেমনটি প্রয়োজনীয়। স্তরভিত্তিক আপেক্ষিক গুরুত্বের বিন্যাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মাত্র দশ-শতাংশ গুরুত্ব পাবে মাধ্যমিক শ্রেণিতে। মাধ্যমিক শ্রেণি মনন-মেধা বিকাশে এবং শিশুর মৌলিক স্ক্যাফোল্ডিং প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বয়স বা স্তর। এই স্তরে দুর্বল বিজ্ঞান শিক্ষা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে। জাপানের মতো দেশে আমরা দেখেছি, শূন্য দশকের শুরুর দিকে বিজ্ঞান বিষয়ক কন্টেন্ট এবং কন্ট্যাক্ট আওয়ার কমিয়ে দিয়েছিল যাতে পাঠ্যের বোঝা কমে। কিন্তু এতে বিপরীত ফলাফল ঘটে – নতুন স্নাতকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতার অভাব দেখা যায়। তখন পরবর্তী কারিকুলাম সাইকেলে তারা আবার ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য হয়েছিল। এমতাবস্থায় উন্নত দেশ যেখানে ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক, সেখানে আমরা মনে করি আমরা একটি অনাস্বাদিত এবং অপরীক্ষিত ঝুঁকি নিতে যাচ্ছি।

নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা বর্তমান নিয়মে পদার্থ-রসায়ন-জীববিজ্ঞানের উপর আলাদা তিনটি ১০০ নম্বরের বই পড়ে, আলাদা ল্যাবও করে। নতুন পদ্ধতিতে সেটা মাত্র একটি বইতে নেমে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাত্র একটি বইয়ে বা ১০০ নম্বরের পত্রে, একত্রে পদার্থ-রসায়ন-জীববিজ্ঞান ঢুকিয়ে দিলে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিজ্ঞান-শিক্ষার বুনিয়াদ মারাত্মক দুর্বল হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রগুলি আলাদা গুরুত্বে না পঠিত হলে, বরঞ্চ এগুলোকে পরিবেশের বিষয়ের সাথে, তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ের সাথে, জীবন ও জীবিকার বিষয়ের সাথে মিলিয়ে ছড়িয়ে পাঠদান করলে মূল বিষয়গুলি অত্যন্ত ঘোলাটে হয়ে যাবে, এবং কোর-কনসেপ্ট বৃদ্ধিতে সেটা কোনক্রমেই সহায়ক হবে না। অধিকন্তু, বর্তমান ব্যবস্থার তুলনায়ও গুরুত্বে পিছিয়ে পড়বে, আন্তর্জাতিক ও-লেভেল বা সমপর্যায়ের শিক্ষা-মাত্রার সাথে সাম্যতায় পৌঁছতেও পারবে না। উচ্চ-মাধ্যমিকে বর্তমানে গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান প্রতিটিতে আলাদা ২০০ নম্বরের বন্টন থাকে। নতুন পদ্ধতিতে সেটাও থাকবে না (তখন থাকবে ঐচ্ছিক বিশেষায়িত বিষয় থেকে মাত্র তিনটি বিষয় পড়ার সুযোগ)। এমনকি গণিতের উচ্চতর বিষয়গুলিও নতুন ব্যবস্থায় অগ্রাহ্য থাকছে (বর্তমানে যেমন উচ্চতর গণিত কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে স্থিতি ও গতিবিদ্যা পড়বার সুযোগ আছে)। আমরা মনে করছি, এই ব্যবস্থায় যে গ্রাজুয়েটদল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে, শত চেষ্টা সত্বেও তারা জাতির জন্য ভবিষ্যতে বোঝা স্বরূপ হয়ে যেতে পারে। বর্তমান সরকার উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যে অভাবনীয় বিপ্লব এনেছেন, অসংখ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেখান থেকে যদি মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট না বের হয় তাহলে সেটা মস্ত চিন্তার ব্যাপার হয়ে উঠবে। বিশেষায়িত বিষয়ে এত কম পড়ে মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট উৎপাদন সম্ভব হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করছি।

এমতাবস্থায় আমরা চাই এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠুক যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা একজন আন্তর্জাতিক মানের কবি বা সাহিত্যিক বা অর্থনীতিবিদ কিংবা প্রকৌশলী বা গণিতিবিদ হয়ে উঠুক। আমরা সবাইকে জোর করে পদার্থবিদ বানাতে চাই না, কিন্তু যে চায় তাকেও একটা সুযোগ দিতে চাই। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা কোডিং শিখুক, গ্রাফ এঁকে বাস্তব সমস্যা সমাধান করুক, পরিসংখ্যানের নিয়মগুলি জানুক, বিগ ডেটা হাতড়ে বেড়াক, ন্যানোপ্রযুক্তির উত্তুঙ্গ বিকাশ কিংবা মহাজাগতিক রহস্যের চূড়ান্ত প্রশ্নগুলির উত্তরও জানুক। আমরা একুশ শতকের আধুনিক মানুষ চাই, বিকশিত মানুষ চাই, দক্ষ ও শিক্ষিত মানুষ চাই। কোনো একটিকে বাদ দিয়ে নয়।

আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব রাখছি

১| জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০ এ প্রস্তাবিত শিক্ষণ ক্ষেত্রের আপেক্ষিক গুরুত্বে কিছুটা রদবদল করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভর বাড়ানো (নিচের সারণি দেখুন)।

২| কৃষি আমাদের দেশের একটা বড় সম্পদ। এই বাস্তবতায় কুদরত ই খুদা কমিশন কৃষি বিজ্ঞানকে অত্যধিক গুরুত্ব সহকারে তৃতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম রূপরেখায় কৃষিকে খুবই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই “কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” নামে একটি আলাদা শিক্ষণ ক্ষেত্র যুক্ত করা অথবা বিদ্যমান শিক্ষণ ক্ষেত্র পরিবেশ ও জলবায়ু এর সাথে কৃষিবিজ্ঞানকে সংযুক্ত করা।

৩| সকল বিষয়েই – বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য – দুটি করে ঐচ্ছিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা। যাতে করে, যে চাইবে সে সেই বিষয়ে অধিকতর ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে পারবে। ঐচ্ছিক বা ইলেকটিভ বিষয়ের সুবিধা হল এটা রিডান্ডেন্সি আনয়ন করে – মূল সিস্টেমের সুবিধাও অক্ষুণ্ণ থাকে, বাড়তি সুবিধাও চাইলে নেওয়া যায়। ঐচ্ছিক বিষয়ের সুবিধা বর্তমান সিস্টেমেও আছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত বোর্ডগুলিতেও আছে।

সারণি: শিখন ক্ষেত্রের স্তরভিত্তিক আপেক্ষিক গুরুত্ব বিন্যাস – প্রকাশিত গুরুত্ব ও প্রস্তাবিত সমন্বয়

\"\"৪| প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে বিদ্যমান শিক্ষাক্রমটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা বহন করা তাদের জন্য যেমন কষ্টকর তেমনি শ্রেণিগত মূল্যায়ন পদ্ধতি অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। আরো ভয়াবহ দিক হচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অশুভ প্রতিযোগিতা যার চাপ শিক্ষার্থীকেই বহন করতে হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আনন্দময় শিক্ষার পরিবর্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে স্কুল তথা শিক্ষা ভীতি। তাই বর্তমান প্রস্তাবিত রূপরখোয় আনন্দময় ও প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদানের কৌশল ও হাতে-কলমে শিক্ষার্জন কার্যক্রমের একটি সুস্পষ্ট আউটলাইন থাকা প্রয়োজন। তবে সেটা গুরুত্ব কমিয়ে নয়।

৫। বর্তমান রূপরেখাটির আরো একটি দুর্বলতা হল উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট রূপরেখা না থাকা। সেখানে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে, সেটা কীভাবে ঠিক হবে, এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকের রূপান্তরটি কীভাবে যুৎসই হবে, সেগুলো স্পষ্ট করা উচিত। যথোপযুক্ত লার্নিং ফ্রেমওয়ার্কের অভাবে শিক্ষাক্রমটি কেবল মাধ্যমিক পর্যন্ত বিস্তারিত থেকে গেছে, উচ্চমাধ্যমিক স্তরটি অবহেলিত রয়ে গেল। ফলে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তি ঘটেনি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির চিত্রটি ধোঁয়াটে থেকে যাচ্ছে। এই স্তর গুরুত্বপূর্ণ, কেননা উচ্চশিক্ষায় এই স্তর থেকেই উত্তরণ ঘটবে। ফলে এই চিত্রটি সম্পূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।

পরিশেষে, আমাদের সবার একটাই আকাঙ্খা – আমাদের দেশ হবে “সোনার বাংলা” যেটা বঙ্গবন্ধুরও স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নেই আমরা ১৯৭১ পেয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা এমন এক শিক্ষাক্রম চাই যেটা একাধারে বিশ্বমানের এবং আমাদের স্থানীয় সমস্যার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। আমাদের শিক্ষা বিশ্বনাগরিক তৈরি করবে, আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রত্যেকেই হয়ে উঠবে এক একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ। এমন নাক্ষত্রসমাবেশ সূচিত হলে, বঙ্গবন্ধু তার মহান ৭ই মার্চ বক্তৃতায় যেমনটি বলে গিয়েছেন, “কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না”।

gacorway
GACORWAY
MPO500
Seorang Pekerja Shift Malam Denpasar Mendapat RTP Mahjong 97 Persen dan Scatter Sweet Bonanza Ganda Ibu Rumah Tangga Bekasi Bermain Mahjong Ways dan Sweet Bonanza di Jam 23:03 Raih Maxwin Rp 82.282.282 Penjual Cilok Malam Makassar Dapat RTP Mahjong 97 Persen dan Scatter Starlight Princess Berturut Mahasiswa Hukum Medan Menemukan Pola Mahjong dan Bonus Sweet Bonanza di Tengah Malam Hujan Petugas SPBU Gorontalo Dapat Scatter Berturut Tiga Kali di Mahjong Wins dan Cuan Rp 89.191.191 Pekerja Pabrik Tangerang Mendapat Scatter Emas Mahjong Ways dan RTP Gatotkaca’s Legend Aktif Penjual Roti Bekasi Bermain Mahjong Wins 3 dan Dapat Cuan Rp 91.828.828 dari Scatter Princess Ibu Rumah Tangga Tasikmalaya Dapat Scatter Hitam Mahjong dan Maxwin Rp 84.383.383 di Tengah Malam Pemuda Mojokerto Bermain Mahjong Saat Listrik Padam dan Bonus Olympus Turun Dua Kali Barista Bali Bermain Mahjong Ways dan RTP Sweet Bonanza 95 Persen Memberikan Scatter Ganda Pola Kuno Mahjong Wins 3 dari Forum Taiwan Kembali Terbukti di Tahun Ini Penjelasan Ilmiah di Balik Grid Mahjong dan Dampaknya pada Pola RTP Live Eksperimen Pola Menyilang di Mahjong Wins 2: Free Spin Muncul Lebih Cepat dari Biasanya Laporan penelitian Pola Ujung Kiri ke Kanan Mahjong Ways Kembali Populer karena Tingkat Scatter Tinggi Rahasia Menang 5 Hari Berturut di Mahjong Wins 3, Kombinasi Pola Random dan Lock Wilds Pola Paling Aman di Mahjong Ways 3 untuk Pemain yang Tak Ingin Risiko Besar Seni Membaca Grid: Teknik Natural Prediksi RTP Mahjong Ways Tanpa Bot Tengah Malam di Bengkel, Jackpot Datang dari Permainan Strategi Mahjong Wins 3 GACORWAY Permainan Kartu Mahjong Ways di GACORWAY, Tukang Pijat Refleksi Menemukan Jackpot di Tengah Kesunyian Malam Belajar dari Montir Yamaha X-Ride: Kemenangan Legendaris di Permainan Slot Mahjong Wins di GACORWAY Panduan